সঠিক যোগ্যতার ডাক্তারের চিকিৎসা নিচ্ছেন তো ? ... ডাক্তার চিনে নিন পর্ব-২ ( দন্ত চিকিৎসক )

 


আমরা রোগাক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহনের জন্য ডাক্তারের কাছে যাই। কিন্ত আমরা কি বুঝি কোন ডাক্তারের যোগ্যতা কতখানি? সঠিক যোগ্যতার ডাক্তার নির্বাচন না করলে হয়ত রোগীর অযথা ভোগান্তি হতে পারে। তাই ডাক্তারদের যোগ্যতা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। চিকিৎসকের যোগ্যতা সম্পর্কে জানার ধারাবাহিক আলোচনার ২য় পর্ব: দন্ত চিকিৎসক ।

 

 

দন্ত চিকিৎসক বা দাঁতের ডাক্তার পরিচিতি

অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের মধ্যে কিছু বিশেষ ধরনের চিকিৎসক রয়েছেন যারা শুধু দাঁতের চিকিৎসা করেন। এসকল চিকিৎসক ’ডেন্টাল চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। এ ক্ষেত্রেও তিন ধরনের চিকিৎসক দেখা যায়। যথা-

1) সনদবিহীন বা অস্বীকৃত সনদধারী : বিভিন্ন ডেন্টাল চেম্বারে কাজ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে কিংবা অস্বীকৃত ডেন্টাল কোর্স সম্পাদন করার পর ডেন্টাল চিকিৎসা করেন। এ ধরনের চিকিৎসকদের জ্ঞান অতি সীমিত এবং শুধু মাত্র প্রাথমিক পর্যায়ের অতিসাধারণ দন্তরোগ চিকিৎসার উপযুক্ত। এদের দ্বারা দাঁতের ফিলিং করানো বা দাঁত উঠানো উচিৎ বা কোন জটিল কাজ করানো উচিৎ নয়।

2) ডিপ্লোমা ও বি.এস.সি ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট : এ ধরনের চিকিৎসকগণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে ’ডিপ্লোমা ও ’বি.এস.সি ইন ডেন্টাল টেকনোলজি কোর্স সম্পন্ন করে থাকেন। এ ধরনের চিকিৎসকগন প্রাথমিক পর্যায়ের সাধারণ দন্তরোগ চিকিৎসার উপযুক্ত তবে সনদবিহীন বা অস্বীকৃত সনদধারী চিকিৎসকদের চেয়ে উন্নতমানের। এদের নিকট জটিল কাজের মধ্যে ফিলিং করানো যেতে পারে তবে অন্যান্য জটিল কাজ ( যেমন-দাঁত উঠোনো, রুট ক্যানেল ইত্যাদি ) না করানোই উত্তম।

3) বি.ডি.এস : স্নাতক পর্যায়ের ও এমবিবিএস সমমানের ডিগ্রী। দাঁতের চিকিৎসার জন্য এ ধরনের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই নিরাপদ। দাঁতের কোন জটিল কাজ যেমন- দাঁত তোলা, স্থায়ী ফিলিং, রুট ক্যানেল, ভাঙ্গা দাঁত ঠিক করা, আঁকাঁবাকা দাঁত সোজা করা ইত্যাদি বিডিএস ডাক্তার দ্বারাই করাতে হবে।

বি.ডি.এস. সম্পন্ন করার পর উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রী নেয়ার সুযোগ এমবিবিএস চিকিৎসকদের অনুরূপ। দন্তরোগ, মুখগহবরের রোগ, অর্থোডন্ডিক্স, মুখমন্ডলের সার্জারী ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রী প্রদান করা হয়ে থাকে। এধরনের চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও পদমর্যাদার ধাপ রয়েছে, যেমন- অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও মেডিকেল অফিসার ইত্যাদি।

 

সকল রোগীদের শুভ কামনায়

 

সহকারী অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম।


0 Comments