সঠিক যোগ্যতার ডাক্তারের চিকিৎসা নিচ্ছেন তো ? ... ডাক্তার চিনে নিন পর্ব-৪ ( হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক )

 


আমরা রোগাক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহনের জন্য ডাক্তারের কাছে যাই। কিন্ত আমরা কি বুঝি কোন ডাক্তারের যোগ্যতা কতখানি? সঠিক যোগ্যতার ডাক্তার নির্বাচন না করলে হয়ত রোগীর অযথা ভোগান্তি হতে পারে। তাই ডাক্তারদের যোগ্যতা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। চিকিৎসকের যোগ্যতা সম্পর্কে জানার ধারাবাহিক আলোচনার ৪র্থ পর্ব: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক

 

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা

বহির্বিশ্বের অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা জনপ্রিয় আসুন এবার জানা যাক এই চিকিৎসা ব্যবস্থার চিকিৎসকদের যোগ্যতা সম্পর্কে

    সনদবিহীন সাধারণ চিকিৎসক: মূলত গ্রাম মফস্বল শহরে ধরনের চিকিৎসক দেখা যায় ধরনের চিকিৎসকদের কোন সনদ নেই কিংবা অস্বীকৃত সনদ থাকতে পারে ধরনের চিকিৎসকদের জ্ঞান সীমিত এবং শুধুমাত্র অতি সাধারণ পর্যায়ের রোগ চিকিৎসার উপযুক্ত

  ডিপ্লোমা: আমাদের দেশেডি.এইচ.এম.এস হিসেবে পরিচিত ধরনের চিকিৎসকগণ বিভিন্নডিপ্লোমা হোমিওপ্যাথি কলেজ হতে কোর্স সম্পাদন করে হোমিওপ্যাথি বোর্ড স্বীকৃত ডিপ্লোমা সনদ রেজিস্ট্রেশন লাভ করেন ধরনের চিকিৎসকগন সাধারণ পর্যায়ের রোগ চিকিৎসা করার যোগ্যতা রাখেন 

  স্নাতক বা এমবিবিএস সমমান: আমাদের দেশে বি.এইচ.এম.এস. (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী) ডিগ্রীকে এমবিবিএস সমমান হিসেবে  বিবেচনা করা হয় ধরনের চিকিৎসকগণ দেশের একটি সরকারী একটি বেসরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হতে বছর মেয়াদী কোর্স (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিতসম্পাদন করার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে রেজিস্ট্রেশন লাভ করেন এটিই বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিতে সর্বোচ্চ ডিগ্রী তাই যে কোন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য ধরনের চিকিৎসকই উপযুক্ত 

 এমবিবিএস সমমানের ডিগ্রী অর্থাৎ বিএইচএমএস ডিগ্রী অর্জন করার পর অনেকেই এদেশ কিংবা বিদেশ হতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ কিংবা ডিগ্রী লাভ করে থাকেন আমাদের দেশে বিএইচএমএস পরবর্তী পরবর্তী কিছু স্নাতকোত্তর ডিগ্রী রয়েছে; যেমন- এম.পি.এইচ (মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ), এম.এস-মাইক্রোবায়োলজি ইত্যাদি  স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত  রয়েছে- হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, বন্ধ্যাত্ব, শিশু স্বাস্থ্য, মানসিক রোগ, চর্মরোগ ইত্যাদি

  পর্যায়ের চিকিৎসকদের পদমর্যাদা অনুসারে শ্রেণীবিন্যাস ( উচ্চক্রম থেকে নিম্নক্রম ) করা যেতে পারে যেমন- অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, মেডিকেল অফিসার প্রভাষক 

 বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে ( উপজেলা জেলা পর্যায়ে) এধরনের চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন

 

ভাল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক যেভাবে চিনবেন

আমাদের দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার নামে প্রতারনা হয় তাই বলে এই চিকিৎসা পদ্ধতি এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয় ভাল মানের চিকিৎসক খুঁজতে হবে হোমিওপ্যাথিক নির্বাচন সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা-


এমবিবিএস সমমান (বিএইচ.এমএস ডিগ্রীধারী চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নেয়াই উত্তম। কারণ এর চেয়ে নিম্নতর যোগ্যতার ( ডিপ্লোমা প্রাপ্ত কিংবা সার্টিফিকেটহীন ) চিকিৎসকের জ্ঞান সীমিত তাই  রোগের চিকিৎসা সফল নাও হতে পারে।

যে চিকিৎসক আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে চিকিৎসা করতে চাইবে তার কাছে কখনোই চিকিৎসা নেয়া যাবে না। কারণ চিকিৎসা শতভাগ ফলপ্রসূ হবে তা কখনোই বলা যায় না। তাই চিকিৎসা ক্ষেত্রে গ্যারান্টি মানেই প্রতারণা।

যে চিকিৎসক বলে টেস্ট করার প্রয়োজন নেই তার নিকট চিকিৎসা না নেয়াই উত্তম। কারণ রোগ চিকিৎসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রোগ নির্ণয়। সঠিক রোগ নির্ণয় হলে চিকিৎসা ফলপ্রসূ হয়। আর রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।

যে চিকিৎসক বলে যে হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি একসাথে নেয়া যাবে না তার নিকট চিকিৎসা না নেয়াই ভাল কারণ অল্প কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সাথে সুনির্দিষ্ট কিছু অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের মিথস্ক্রিয়া হতে পারে তাই হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনকালীন সময় বেশিরভাগ অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ সেবন করা যায় ।

 এলোপ্যাথিক চিকিৎসক যে ঔষধ খেয়ে যেতে ( যেমন ইনসুলিন ) বলেছেন সে ঔষধ কোন চিকিৎসক হঠাৎ করে বন্ধ করতে বললে সেই চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নেয়া যাবে না কারণ কিছু কিছু অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ রয়েছে যা এক নাগাড়ে দীর্ঘদিন সেবন/ব্যবহার করলে দেহে তার প্রতি কিছুটা নির্ভরশীলতা তৈরি হয় এবং ঔষধগুলো নিয়ম অনুযায়ী ধীরে ধীরে বন্ধ করতে হয়। যদি আকস্মিক ভাবে ঔষধটি বন্ধ করা হয় তবে দেহে বিশৃংখল অবস্থা দেখা দিতে পারে।

 


 

সকল রোগীদের শুভ কামনায়

 

হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ 

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত

শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন

 সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম

 বি.এইচ.এম.এস. (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী; ঢা.বি.)

সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ

এইচ.ই.সি (ভারত), ডি.এম.এস, ডি.এইচ.আর, সি.এম.ইউ (আল্ট্রা) সি.এম.আই (বন্ধাত্ব), সি.ডি.টি.এম. সি.পি


সহকারী অধ্যাপক (প্রাক্তন):  বাংলাদেশ মেডিকেল ইন্স. ঢাকা

জুনিয়র কনসালট্যান্ট (প্রাক্তন) : গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, ঢাকা

এক্স-এইচ.পি: সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

 

মেডিসিন, চর্ম ও যৌনরোগ, নাক-কান-গলা, শিশু রোগ, স্ত্রীরোগ, প্যাথলজি, সহ 

শতাধিক মেডিকেল বই রচয়িতা (ভারত ও বাংলাদেশে পঠিত)

 

হোমিওপ্যাথি,প্যারামেডিকেল, পল্লী চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষক

স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও চিকিৎসা পরামর্শক

পুরুষ-মহিলা-শিশুদের নতুন পুরাতন ও জটিল রোগের চিকিৎসক

 

চেম্বার

হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল সেন্টার

খাদ্যগুদাম মোড়, (খাদ্যগুদাম মসজিদের পূর্ব দিকে), শেরপুর টাউন, শেরপুর।

 

ফেসবুক: fb.com/dr.maaq

ওয়েব: drmaaqbd.blogspot.com

সিরিয়ালের জন্য: ০১৯৭২ ৪০০ ৯৩৯ ( সকাল ১১.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা )

 


 


0 Comments