পাইলস ও মলদ্বার রোগ

 



বাংলাদেশে মলদ্বার সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগই ভুল ধারণা পোষণ করেন।শুধু রোগী নয় বেশিরভাগ জনগনই মলদ্বারে বেদনা, মলের সাথে রক্তক্ষরণ, মলদ্বারে গোটা অনুভব করলেই তাকে পাইলস বলে ধারণা করেন, যা সঠিক নয়। জেনে রাখাটা জরুরি যে, পাইলস একটি মলদ্বার রোগ কিন্তু সকল মলদ্বার সমস্যাই পাইলস নয়।

মলদ্বারে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হতে পারে যেগুলোর লক্ষণ মলদ্বারে বেদনা, মলের সাথে রক্তক্ষরণ, মলদ্বারে গোটা অনুভব, মলদ্বার দিয়ে কিছু বের হয়ে আসার অনুভূতি, মলদ্বারে চুলকানী ইত্যাদি। এবার জেনে নেয়া যাক উল্লেখিত লক্ষণগুলো সাধারণত কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়-

মলদ্বারে বেদনা: এনাল ফিসার, পাইলস, রেকটার ক্যান্সার, রেকটাল পলিপ, রেকটাল টিউমার, পেরি এনাল এবসেস, এনোরেকটাল ফিশ্চুলা ইত্যাদি রোগে মলদ্বারে বেদনা অনুভূত হতে পারে।

মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ: এনাল ফিসার, পাইলস, রেকটার ক্যান্সার, রেকটাল পলিপ, রেকটাল টিউমার, এনোরেকটাল ফিশ্চুলা, মারাত্নক লিভার রোগ, হৃদরোগ, রক্তরোগ  ইত্যাদি রোগে মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে। 

মলদ্বারে গোটা অনুভব: এনাল ফিসার, পাইলস, রেকটাল ক্যান্সার, রেকটাল পলিপ, রেকটাল টিউমার, এনোরেকটাল ফিশ্চুলা, রেকটাল প্রল্যাপ্স ইত্যাদি রোগে মলদ্বারে গোটা অনুভব হতে পারে।

মলদ্বার দিয়ে কিছু বের হয়ে আসা অনুভূতি: পাইলস, রেকটাল ক্যান্সার, রেকটাল পলিপ, রেকটাল টিউমার, রেকটাল প্রল্যাপ্স ইত্যাদি রোগে মলদ্বার দিয়ে কিছু বের হয়ে আসার অনুভূতি হতে পারে।

মলদ্বারে চুলকানী: এনাল ফিসার, কৃমি সংক্রমন, চর্ম রোগ, ছত্রাক আক্রমন, ভাইরাস আক্রমন, এনোরেকটাল ফিশ্চুলা ইত্যাদি কারণে মলদ্বারে চুলকানী অনুভব হতে পারে।

 

উপরোক্ত আলোচনায় সহযেই বুঝা উচিৎ যে পাইলস ভেবে মলদ্বারের সমস্যাকে কোন মতেই অবহেলা করা যাবেনা।

 

মলদ্বারের সমস্যা দেখা দিলে করনীয় কি?

মলদ্বারের সমস্যা দেখা দিলে একজন হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ( অথবা বি.এইচ.এম.এস ডিগ্রী প্রাপ্ত) কিংবা এলোপ্যাথিক কোলোরেকটাল বিশেষজ্ঞ না পাওয়া গেলে সার্জারী বিশেষজ্ঞ না পাওয়া গেলে  এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ইউনানী ও আয়ুবের্দিক চিকিৎসাও এ ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ তবে বি.ইউ.এম.এস অথবা বি.এ.এম.এস ডিগ্রীধারী চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এলোপ্যাথিতে মলদ্বার রোগের চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রেই অপারেশন করানোর প্রয়োজন হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপারেশনের পরও সমস্যা থেকে যায়।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ মলদ্বার সমস্যার রোগী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহন করেন। কারণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ঔষধ দ্বারা বেশিরভাগক্ষেত্রেই রোগ নির্মূল বা অধিকতর নিয়ন্ত্রিত হয় ।  তবে অনেক ক্ষেত্রেই তারা আশানুরুপ ফলাফল পায় না। এর কারণ সঠিক যোগ্যতার হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ না নেয়া। মনে রাখতে হবে হোমিওপ্যাথিতেও পল্লী চিকিৎসক, ডিপ্লোমা এবং  হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে। মলদ্বার সমস্যায় হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ অথবা বি.এইচ.এম.এস ডিগ্রীপ্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই উচিৎ । নইলে  হয়ত আশানুরুপ ফলাফল পাওয়া যাবে না এবং রোগ জটিল হয়ে যেতে পারে।

এলোপ্যাথিক বা হোমিওপ্যাথিক বা ইউনানী বা আয়ুবের্দিক পল্লী চিকিৎসকের নিকট থেকে প্রাথমিক উপশমের জন্য কয়েক দিনের চিকিৎসা নেয়া যেতে পারে তবে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা নেয়া যাবে না।

মনে রাখতে হবে মলদ্বার সমস্যায় চিকিৎসার জন্য তিনটি করনীয়- (১) সঠিক রোগ নির্ণয় (২) সঠিক নিয়ম কানুন অনুসরণ (৩) সঠিক ওষুধ ।

 

মলদ্বারের সমস্যায় যা কখনোই করা যাবে না?

v  গ্যারান্টি দেয় এমন কারো থেকেই চিকিৎসা নেয়া যাবে না। চিকিৎসায় গ্যারান্টি মানেই প্রতারনা।

v  ইনজেকশন পদ্ধতিতে চিকিৎসা কখনোই নেয়া যাবে না, এতে সমস্যা আরো জটিলতর হতে পারে এবং স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।

v  নূন্যতম এমবিবিএস চিকিৎসক ব্যাতিত অন্য কারো নিকট থেকে মলদ্বারে সার্জারীমূলক চিকিৎসা করানো যাবে না, এতে সমস্যা আরো জটিলতর হতে পারে এবং স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।

v  কবিরাজের কথা মত কোন ওষুধ মলদ্বারে ব্যবহার করা যাবে না। এতেও সমস্যা জটিলতর হতে পারে।

v  অন্য রোগী বা চিকিৎসক নন এমন ব্যাক্তির কথা মত এলোপ্যাথিক / হোমিওপ্যাথিক / ইউনানী / আয়ুবেদীক / হার্বাল ওষুধ সেবন করা যাবে না। মনে রাখতে হবে লক্ষণ একই হলেও রোগ কিন্তু এক নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা ফলপ্রসূ হবে না এবং রোগ জটিল হতে পারে।

 

মলদ্বারের কোন সমস্যা অনুভূত হলে দ্রুত  সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং ।চিকিৎসকের পরামর্শ মত কাজ করতে হবে। ইনশা-আল্লাহ রোগ আরোগ্য হবে

 

স্বাস্থ্য সচেতনতায়


হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ 

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত

শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন

সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম

 বি.এইচ.এম.এস. (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী; ঢা.বি.)

সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ

এইচ.ই.সি (ভারত), ডি.এম.এস, ডি.এইচ.আর, সি.এম.ইউ (আল্ট্রা) সি.এম.আই (বন্ধাত্ব), সি.ডি.টি.এম. সি.পি

 

সহকারী অধ্যাপক (প্রাক্তন):  বাংলাদেশ মেডিকেল ইন্স. ঢাকা

জুনিয়র কনসালট্যান্ট (প্রাক্তন) : গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, ঢাকা

এক্স-এইচ.পি: সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

 

মেডিসিন, চর্ম ও যৌনরোগ, নাক-কান-গলা, শিশু রোগ, স্ত্রীরোগ, প্যাথলজি, সহ 

শতাধিক মেডিকেল বই রচয়িতা (ভারত ও বাংলাদেশে পঠিত)

 

হোমিওপ্যাথি,প্যারামেডিকেল, পল্লী চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষক

স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও চিকিৎসা পরামর্শক

পুরুষ-মহিলা-শিশুদের      নতুন-পুরাতন-জটিল রোগের চিকিৎসক

 

চেম্বার

হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল সেন্টার

খাদ্যগুদাম মোড়, (খাদ্যগুদাম মসজিদের পূর্ব দিকে), শেরপুর টাউন, শেরপুর।

  

ফেসবুক: fb.com/dr.maaq

ওয়েব: drmaaqbd.blogspot.com

সিরিয়ালের জন্য: ০১৯৭২ ৪০০ ৯৩৯ ( সকাল ১১.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা )

0 Comments