গর্ভাবস্থায় ঔষধ ! সাবধান

 


 

রোগাবস্থায় আমরা ঔষধ সেবন / প্রয়োগ করি। এই সেবনকৃত / প্রয়োগকৃত ঔষধ আমাদের রক্ত ধারায় প্রবেশ করে । রক্ত ধারা যেমন দেহের সর্বত্র বিরাজমান ঠিক তেমনই রক্তধারার সাথে ঔষধও দেহের সর্বত্র বিস্তার লাভ করে।  এমনকি রক্তের মাধ্যমে  এই ঔষধ গর্ভবতী মায়ের গর্ভস্থ শিশুর অভ্যন্তরেও প্রবেশ করতে পারে।

 

অনেক ঔষধ রয়েছে যেগুলো গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করতে পারে, যেমন- বিকলাঙ্গতা, প্রতিবন্ধিতা, গর্ভাবস্থায় বৃদ্ধি হ্রাস ইত্যাদি। আবার কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো গর্ভাবস্থার ক্ষতি সাধণ করতে পারে, যেমন- অকাল প্রসব বেদনা, গর্ভস্থ এমনিওটিক ফ্লুইডের হ্রাস ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে শুধু সেবন নয় বাহ্যিক ভাবে ব্যবহারের ঔষধও রক্তধারায় প্রবেশ করে ক্ষতি সাধণ করতে পারে।

 

তাই সকল ঔষধ গর্ভাবস্থায় সেবন / প্রয়োগ করা যায় না। সেবন / প্রয়োগ করলে গর্ভাবস্থার কিংবা গর্ভস্থ শিশুর মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। হোক সেটা অ্যালোপ্যাথি কিংবা হার্বাল কিংবা হোমিওপ্যাথি। তাই গর্ভাবস্থায় অ্যালোপ্যাথির ক্ষেত্রে এম.বি.বি.এস;  হার্বালের ক্ষেত্রে বি.এ.এম.এস অথবা বি.ইউ.এম.এস; হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে বি.এইচ.এম.এস চিকিৎসকের পরামর্শ মতে ঔষধ সেবন করাই উত্তম।


নেহায়েতই যদি এম.বি.বি.এস ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ সেবন / ব্যবহার করতেই হয় তবে ঔষধটি গর্ভাবস্থায় নিরাপদ কি না তা জেনে সেবন / ব্যবহার করতে হবে। 

 

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের নিরাপত্তার উপর ভিত্তি করে ঔষধকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করেছে। ইউ.এস.এ (আমেরিকা) - র এফ.ডি.এ ( ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন/ খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন) গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে একটি ড্রাগ ক্যাটাগরি ( ঔষধের শ্রেণিবিভাগ) করেছেন। এটি আমাদেও দেশে বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়। ক্যাটাগরিটি হলো-

 

(১) ক্যাটাগরি এ : মানব দেহে পর্যাপ্ত গবেষণায় গর্ভধারনের প্রথম ট্রায়মিষ্টারে  ভ্রণ ও গর্ভধারনের জন্য কোন ঝুঁকি পাওয়া যায়নি ।  গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যায়।

 

(২) ক্যাটাগরি বি : প্রাণীদেহে পর্যাপ্ত গবেষণায় ভ্রণের জন্য ক্ষতিকর কিছু প্রমানিত হয়নি এবং গর্ভবতী মহিলাদের উপর পর্যাপ্ত গবেষণা হয়নি। কিংবা   প্রাণীদেহে গবেষণায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তবে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে গবেষণায় ঝুঁকি প্রমানিত হয় নি।  সতর্কতা অবলম্বন করে গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যাবে।

 

(৩) ক্যাটাগরি সি: প্রাণীদেহে গবেষণায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তবে মানবদেহে এর পর্যাপ্ত গবেষণা হয়নি। ঝুঁকির চেয়ে হিতসাধনের প্রয়োজন বেশী হলে এবং শুধুমাত্র অপরিহার্য হলেই ব্যবহার করা যেতে পারে ।  অপরিহার্য হলে গর্ভাবস্থায় দেয়া যাবে ( স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চিকিৎসকের পরামর্শে)।

 

(৪) ক্যাটাগরি ডি : বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল দ্বারা মানব ভ্রæনের ঝুঁকি প্রমানিত হয়েছে। ঝুঁকির চেয়ে হিতসাধনের প্রয়োজন বেশী হলে এবং শুধুমাত্র অপরিহার্য হলেই ব্যবহার করা যেতে পারে (যেমন- জীবন বিপন্নকর অবস্থা কিংবা মারাত্নক অসুস্থতায় যখন এই ঔষধ ব্যতিত অন্যকোন ঔষধ ব্যবহার ফলপ্রসু নয় )। শুধু মাত্র অতি অপরিহার্য হলে স্নাতকোত্তর চিকিৎসকের পরামর্শে দেয়া যাবে 

 

(৫) ক্যাটাগরি এক্স: মানব দেহে এ ধরনের ঔষধ দ্বারা ভ্রণের অস্বাভাবিকতা ( বিকলাঙ্গতা) প্রমানিত হয়েছে। গর্ভাবস্থায় ব্যবহার নিষিদ্ধ।

 

প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি সম্পর্কে কিছু জ্ঞাতব্য

ক) কিছু কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো দুটি ক্যাটরিতে অবস্থান করে। এ ক্ষেত্রে একটি হলো গর্ভাবস্থার প্রথম দিকের জন্য অপরটি গর্ভাবস্থার পরের দিকের জন্য। অথবা   একটি নিম্ন মাত্রার ক্ষেত্রে অপরটি উচ্চ মাত্রার ক্ষেত্রে ।

 

খ) কিছু কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলোর কোন প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি নেই। এ ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারকের নিম্নলিখিত তথ্য উপস্থাপিত হতে পারে- (১) গর্ভাবস্থায় ব্যবহার নিরাপত্তা বিষয়ে পর্যাপ্ত ক্লিনিক্যাল ডাটা পাওয়া যায়নি । অথবা  (২) কিছু ক্লিনিক্যাল রিসার্চে কোন ভ্রনের ক্ষেত্রে কোন টেরাটোজেনিক প্রভাব পাওয়া যায়নি অথবা গর্ভবতীর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হয় নি।

 

যদি অত্যাবশ্যক হয় এবং কোন বিকল্প না পাওয়া যায় তবে এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে সকল ঔষধ শুধু মাত্র স্নাতকোত্তর চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

 

গ) একটি ঔষধের জ্ঞাত প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি পরিবর্তিত হতে পারে। কারণ প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি রোগী পর্যবেক্ষণ ও গবেষনার উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়। নতুন কোন তথ্য প্রমানিত হলে তা প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরির উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি পরিবর্তিত হতে পারে।

 

ঘ) একটি ঔষধের প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি ও গর্ভাবস্থায় ব্যবহার নিরাপত্তা জানতে ঔষধ প্রস্তুতকারক কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত নির্দেশিকা দেখতে হবে ( ঔষধের প্যাকেটের ভেতরে দেয়া থাকে যাকে সাধারণ ভাষায় লিফলেট বলা হয় )।

 

 

 

সকল গর্ভবতীর সুস্বাস্থ্য কামনায়

 

হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ 

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত

শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন

 সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম

 বি.এইচ.এম.এস. (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী; ঢা.বি.)

সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ

এইচ.ই.সি (ভারত), ডি.এম.এস, ডি.এইচ.আর, সি.এম.ইউ (আল্ট্রা) সি.এম.আই (বন্ধাত্ব), সি.ডি.টি.এম. সি.পি

 

সহকারী অধ্যাপক (প্রাক্তন):  বাংলাদেশ মেডিকেল ইন্স. ঢাকা

জুনিয়র কনসালট্যান্ট (প্রাক্তন) : গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, ঢাকা

এক্স-এইচ.পি: সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

 

মেডিসিন, চর্ম ও যৌনরোগ, নাক-কান-গলা, শিশু রোগ, স্ত্রীরোগ, প্যাথলজি, সহ 

শতাধিক মেডিকেল বই রচয়িতা (ভারত ও বাংলাদেশে পঠিত)


হোমিওপ্যাথি,প্যারামেডিকেল, পল্লী চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষক

স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও চিকিৎসা পরামর্শক

পুরুষ-মহিলা-শিশুদের নতুন পুরাতন ও জটিল রোগের চিকিৎসক

 

চেম্বার

হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল সেন্টার

খাদ্যগুদাম মোড়, (খাদ্যগুদাম মসজিদের পূর্ব দিকে), শেরপুর টাউন, শেরপুর।

  

ফেসবুক: fb.com/dr.maaq

ওয়েব: drmaaqbd.blogspot.com

সিরিয়ালের জন্য: ০১৯৭২ ৪০০ ৯৩৯ ( সকাল ১১.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা )



0 Comments