নবজাতকের যত্ন নিতে গিয়ে তার ক্ষতি করছেন না তো !

 



নবজাতকের ব্যপারে সকলেই যত্নবান মা-বাবা, নানা-নানী, দাদা-দাদী, অন্যান্য অনেকেই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতার পরিচয় প্রদান করেন তবে মজার বিষয় হলো নবজাতকের যত্ন নিতে গিয়ে কিছু কিছু সময় ভালর পরিবর্তে খারাপ কাজটাই করা হয়ে থাকে

 

অনেকেই নবজাতকের কাপড় জীবানুমুক্ত করার জন্য স্যাভলন বা ডেটল ব্যবহার করে থাকেন এটি মোটেই ঠিক না কাপড়ে লেগে থাকা স্যাভলন বা ডেটল নবজাতকের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে বিশেষত এলার্জিক rash হতে পারে এলার্জিক র্যা হলে ত্বকে হামের মত লালচে ছোট ছোট গুটি হতে পারে বা ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে এলার্জিক র্যা এর স্থানে চুলকায় ফলে শিশু অস্বস্তিতে ভোগে ফলশ্রুতিতে শিশু বেশি বেশি কান্নাকাটি করতে পারে

 

তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে নবজাতকের পরিধেয় ব্যবহৃত কাপড় কিভাবে জীবানুমুক্ত করা যায়? উত্তরে বলব নিচের প্রক্রিয়ায় নবজাতকের কাপড় চোপড় জীবানুমুক্ত করা যায়

নবজাতকের কাপড় চোপড় , ন্যাকড়া ইত্যাদি ধোয়ার জন্য

. নবজাতকের ব্যবহৃত কাপড় চোপড়ের মধ্যে পায়খানা লেখে থাকা কাপড়গুলো রাখার সময়ই একদম আলাদাভাবে রাখতে হবে প্রস্রাব অন্যান্য কাপড়গুলো একসাথে রাখা যেতে পারে তবে আলাদা রাখাই উত্তম

২. নবজাতকের কাপড় ধোয়ার জন্য জীবানুমুক্ত পানি, যেমন- টিউবয়েলের পানি ব্যবহার করতে হবে (পৌরসভার সাপ্লাই পানিও ব্যবহার করা যাবে) পুকুড় ডোবার পানি ব্যবহার করা যাবেনা

. প্রস্রাবের কাপড় প্রথমে শুধু পানিতে ধুয়ে নিতে হবে পায়খানা লেগে রয়েছে এমন কাপড় থেকে ব্রাশ (অথবা অন্য কিছু) ব্যবহার করে খুব ভাল ভাবে পায়খানা দূর করতে হবে

৪. তারপর উন্নত মানের ডিটারজেন্ট পাউডারে প্রস্রাব পায়খানার কাপড় আলাদা ভাবে 15-20 মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে প্রস্রাবের কাপড়ের সাথে অন্যান্য কাপড়ও দেয়া যেতে পারে তারপর ভালকরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে

৫. কাপড়গুলো কড়া রোদে শুকাতে হবে কড়া রোদ না পাওয়া গেলে কাপড় বাতাসে ভালভাবে শুকাতে হবে সুবিধা থাকলে বাতাসে শুকানো কাপড় ইস্ত্রি করে নিলে ভাল হয়

৬. কাপড়গুলো ভালভাবে শুকিয়ে গেলে বাড়ীর অন্যান্য কাপড়ের সাথে না মিশিয়ে আলাদা ভাবে সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করতে হবে

 

শিশুর মায়ের বা পরিচর্যাকারীর কাপড়ও এভাবে পরিস্কার করতে হবে

 

মনে রাখবেনবাজার থেকে কেনা নতুন কাপড় না ধুয়ে কখনোই নবজাতকের গায়ে দিবেন না এতে এলার্জিক রিয়্যাকশন, কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস সহ অন্যান্য চর্মরোগ হতে পারে

 

আরেকটি কথা- নবজাতকের গোসলের পানিতে কখনোই স্যাভলন বা ডেটল দেবেনে না এতে সমস্যা আরো বেশি হতে পারে

 

 

সকল নবজাতকের সুস্বাস্থ্য কামনায়

 

হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ 

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত

শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন

সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম

 বি.এইচ.এম.এস. (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী; ঢা.বি.)

সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ

এইচ.ই.সি (ভারত), ডি.এম.এস, ডি.এইচ.আর, সি.এম.ইউ (আল্ট্রা) সি.এম.আই (বন্ধাত্ব), সি.ডি.টি.এম. সি.পি

 

সহকারী অধ্যাপক (প্রাক্তন):  বাংলাদেশ মেডিকেল ইন্স. ঢাকা

জুনিয়র কনসালট্যান্ট (প্রাক্তন) : গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, ঢাকা

এক্স-এইচ.পি: সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

 

মেডিসিন, চর্ম ও যৌনরোগ, নাক-কান-গলা, শিশু রোগ, স্ত্রীরোগ, প্যাথলজি, সহ 

শতাধিক মেডিকেল বই রচয়িতা (ভারত ও বাংলাদেশে পঠিত)

 

হোমিওপ্যাথি,প্যারামেডিকেল, পল্লী চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষক

স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও চিকিৎসা পরামর্শক

পুরুষ-মহিলা-শিশুদের নতুন পুরাতন ও জটিল রোগের চিকিৎসক

 

চেম্বার

হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল সেন্টার

খাদ্যগুদাম মোড়, (খাদ্যগুদাম মসজিদের পূর্ব দিকে), শেরপুর টাউন, শেরপুর।

  

ফেসবুক: fb.com/dr.maaq

ওয়েব: drmaaqbd.blogspot.com

সিরিয়ালের জন্য: ০১৯৭২ ৪০০ ৯৩৯ ( সকাল ১১.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা )

 

 

 


0 Comments