স্তন্যদায়ী মা ! ঔষধ সেবনে সাবধান ! নইলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে

 



রোগাবস্থায় আমরা ঔষধ সেবন / প্রয়োগ করি। এই সেবনকৃত / প্রয়োগকৃত ঔষধ আমাদের রক্ত ধারায় প্রবেশ করে । রক্ত ধারা যেমন দেহের সর্বত্র বিরাজমান ঠিক তেমনই রক্তধারার সাথে ঔষধও দেহের সর্বত্র বিস্তার লাভ করে এবং দেহের প্রয়োজনীয় অংশে ক্রিয়া সাধন করে।  পরবর্তীতে এই ঔষধ দেহ থেকে নিস্কাশিত হয়। প্রধাণত কিডনির মাধ্যমে দেহ হতে ঔষধ বের হয়ে যায়। তবে পিত্ত, মল, ফুসফুস থেকে নির্গত প্রশ্বাস, মাতৃদুগ্ধ, লালা, ঘর্ম ইত্যাদি পথ দিয়েও নিস্কাশিত হতে পারে।

 

প্রতিটি ঔষধের যেমন উপকারী ক্রিয়া রয়েছে তেমন রয়েছে অনাকাংখিত ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তাই প্রয়োজন না হলে কোন ঔষধই সেবন / প্রয়োগ করা উচিৎ নয়।

 

একজন  স্তন্যদায়ী মা কোন ঔষধ সেবন করলে তার অংশ বিশেষ  তার স্তনদুগ্ধের মাধ্যমে নিঃসরিত হতে পারে । যদি তার নবজাতক / দুগ্ধপোষ্য শিশু সে দুগ্ধ পান করে তবে শিশুর দেহেও ঔষধ প্রবেশ করবে অথচ ঔষধটি শিশুটির ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ও অনাকাংখিত এবং যা শিশুর দেহে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর।

 

অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, হার্বাল যে কোন ওষুধের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। তবে অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের  ক্ষেত্রে ক্ষতির মাত্রা বেশি ।

 

তাই স্তন্যদানকালীন সময় সকল ঔষধ সেবন করা অনুচিত। কিছু ক্ষেত্রে তা স্তন্যপায়ী শিশুর ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই স্তন্যদানকালীন সময় কোন ঔষধ সেবন করতে হলে অ্যালোপ্যাথির ক্ষেত্রে এম.বি.বি.এস;  হার্বালের ক্ষেত্রে বি.এ.এম.এস অথবা বি.ইউ.এম.এস; হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে বি.এইচ.এম.এস ডিগ্রী প্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শ মতে ঔষধ সেবন করাই উত্তম। **

 

 

নেহায়েতই যদি এম.বি.বি.এস ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ সেবন করতেই হয় তবে ঔষধটি গর্ভাবস্থায় নিরাপদ কি না তা জেনে সেবন করতে হবে। 

 

 

স্তন্যদায়ী মায়ের ক্ষেত্রে ঔষধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু দিক নির্দেশনা:

 (১) স্বাভাবিক মাত্রায় বেশিরভাগ সাপ্লিমেন্ট (ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি) ঔষধ নিরাপদ ।

(২) যে সকল ঔষধের প্রাপ্ত বয়স্ক ও পেডিয়াট্রিক ড্রপ প্রস্তুতি পাওয়া যায় সেগুলো স্তন্যদায়ী মায়ের ক্ষেত্রে তুলনামূলক নিরাপদ ।

(৩) যে সকল ঔষধের সিরাপ প্রস্তুতি পাওয়া যায় যেগুলোর বেশ কিছু তুলনামূলক নিরাপদ ।

(৪) যে সকল ঔষধের প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি বি সেগুলোর বেশ কিছু তুলনামূলক নিরাপদ । **

(৫) যে সকল ঔষধ স্বাভাবিক মাত্রায় নিরাপদ সেগুলো উচ্চমাত্রায় নিরাপদ নাও হতে পারে

(৬) কিছু কিছু ঔষধ স্বল্প সময়ের জন্য (২-৩ দিন) ব্যবহার নিরাপদ তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার নিরাপদ নাও হতে পারে

(৭) সকল টপিক্যাল প্রস্তুতি (ত্বকে ব্যবহার্য, চোখের ড্রপ, কানের ড্রপ, ন্যাসাল ডিকনজেস্টেন্ট ইত্যাদি) নিরাপদ নয়

(৮) সকল ক্ষেত্রেই একটি ঔষধের  স্তন্যদান নিরাপত্তা জানতে ঔষধ প্রস্তুতকারক কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত নির্দেশিকা দেখতে হবে ( ঔষধের প্যাকেটের ভেতরে দেয়া থাকে যাকে সাধারণ ভাষায় লিফলেট বলা হয় )।

 

 

** অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি ও হার্বাল চিকিৎসকদের ডিগ্রী ও যোগ্যতাসম্পর্কে জানতে এই লাইনে ক্লিক করুন।  

 

*** প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে এই লাইনে ক্লিক করুন।  

 

 

সকল স্তন্যপায়ী শিশুর সুস্বাস্থ্য কামনায়

 

হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ 

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত

শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন

সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম

 বি.এইচ.এম.এস. (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী; ঢা.বি.)

সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ

এইচ.ই.সি (ভারত), ডি.এম.এস, ডি.এইচ.আর, সি.এম.ইউ (আল্ট্রা) সি.এম.আই (বন্ধাত্ব), সি.ডি.টি.এম. সি.পি

 

সহকারী অধ্যাপক (প্রাক্তন):  বাংলাদেশ মেডিকেল ইন্স. ঢাকা

জুনিয়র কনসালট্যান্ট (প্রাক্তন) : গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, ঢাকা

এক্স-এইচ.পি: সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

 

মেডিসিন, চর্ম ও যৌনরোগ, নাক-কান-গলা, শিশু রোগ, স্ত্রীরোগ, প্যাথলজি, সহ 

শতাধিক মেডিকেল বই রচয়িতা (ভারত ও বাংলাদেশে পঠিত)

 

হোমিওপ্যাথি,প্যারামেডিকেল, পল্লী চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষক

স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও চিকিৎসা পরামর্শক

পুরুষ-মহিলা-শিশুদের নতুন পুরাতন ও জটিল রোগের চিকিৎসক

 

চেম্বার

হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল সেন্টার

খাদ্যগুদাম মোড়, (খাদ্যগুদাম মসজিদের পূর্ব দিকে), শেরপুর টাউন, শেরপুর।

  

ফেসবুক: fb.com/dr.maaq

ওয়েব: drmaaqbd.blogspot.com

সিরিয়ালের জন্য: ০১৯৭২ ৪০০ ৯৩৯ ( সকাল ১১.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা )

 

 


0 Comments